আজ মঙ্গলবার, ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কোটা বিরোধীদের উপর পুলিশের লাঠিচার্য

কোটা বিরোধীদের

কোটা বিরোধীদের উপর পুলিশের লাঠিচার্যকোটা বিরোধীদের

সংবাদচর্চা ডটকম:

সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচিতে বাধা দিয়েছে পুলিশ। এ সময় দুই পক্ষে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। আর তিনজনকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীটি।
ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ সোহরাব, জাহির ও আরিফ নামের তিনজনকে আটক করেছে বলে জানিয়েছেন শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল হাসান।

বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে নিয়োগে ৩০ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত আছে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জন্য। এর বাইরে ১০ শতাংশ নারী কোটা, পশ্চাদপদ জেলাগুলোর জন্য আরও ১০ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য পাঁচ শতাংশ এবং এক শতাংশ কোটা আছে প্রতিবন্ধীদের জন্য।

এই কোটা ১০ শতাংশে নামিয়ে আনাসহ পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন করছে শিক্ষার্থীরা। সরকারের শেষ বছরে প্রতিবারই এমন আন্দোলন হয়, যাতে মূলত মুক্তিযোদ্ধা কোটার বিষয়টি সামনে নিয়ে আসা হয়। আর এ কারণে এই দাবি নিয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়াও আছে।

গত ৮ মার্চ সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোজাম্মেল হক খান জানান, কোটার শূন্যপদ সাধারণ পরীক্ষার্থীদের মধ্য থেকে পূরণ করার সিদ্ধান্ত এলেও কোটা বাতিল বা কমানোর পরিকল্পনা সরকারের নেই।

মিছিলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা কলেজ, ইডেন কলেজসহ বিভিন্ন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সহস্রাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন।
আন্দোলনকারীদের আহ্বায়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হাসান আল মামুন বলেন, ‘দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের আন্দোলন চলবে।’

আগামী ১৮ মার্চ সারা দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করবেন বলেও জানান আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

চাকরিতে কোটা সারা বিশ্বেই একটি সাধারণ বৈশিষ্ট্য। কোনো কোনো দেশে বেসরকারি চাকরিতেও কোটা আছে। মূলত পিছিয়ে পড়া বা কোনো জনগোষ্ঠীকে বিশেষ সুবিধা দেয়ার জন্য এই নীতিমালা গ্রহণ করা হয়।

আন্দোলনকারীরা একে বৈষম্যমূলক দাবি করলেও জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞরা একে ‘পজিটিভি ডিসক্রিমিনেশন’ বা ইতিবাচক বৈষম্য আখ্যা দিয়ে থাকেন। সমাজে বিদ্যমান বৈষম্য দূর করার জন্যই এই পন্থা চালু থাকা উচিত বলে মত তাদের।